Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নির্যাতনে হত্যার পর আত্মহত্যার প্রচার

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

নির্যাতনে হত্যার পর আত্মহত্যার প্রচার

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মো. রিয়াজ (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মৌ-মাছির খামারে কাজ করত। খামারমালিকের বরাত দিয়ে মৃতের পরিবার দাবি করেছে, মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার মনঃকষ্টে রিয়াজ আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সকালে মৃতদেহ গোসলের সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাওয়ায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠায়।

নিহত রিয়াজ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মরাগাং এলাকার মো. আব্দুল আলিমের ছেলে। চার মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শেখেরকান্দি এলাকার সবুজ হোসেনের খামারে সে কাজ করতে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তড়িঘড়ি করে গোসলের পর রিয়াজের মৃতদেহ দাফন চেষ্টার ঘটনায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে রিয়াজের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

তবে নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে তার পরিবার তথ্য গোপন করছে। বৃষ্টিতে খামারের অন্তত ৭০টি মৌ-মাছির বাক্স নষ্ট হওয়ায় দুই সহকর্মীসহ রিয়াজকে মালিকের লোকজনের নির্যাতনের ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত কিশোরের দাদা রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে মৌ-মাছি চাষি সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে রিয়াজের মৃত্যুর খবর দেন। মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার কষ্টে সে খামারের জিনিসপত্র থাকা একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলেও খামারমালিকের হয়ে মোশারফ তাঁদেরকে জানান।

তিনি আরও জানান, শুনেছি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় বৃষ্টিতে ৭০টির বেশি মৌ-মাছির বাক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে খামারমালিকসহ তাঁর লোকজন তিন কর্মচারীকে নির্যাতন করার পর রিয়াজ মারা যায়। নাতির মৃত্যুর পর খামারের অপর দুই কর্মচারীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।

নিহত কিশোরের প্রতিবেশী আবুল কাশেমের দাবি, মৃতদেহ গোসলের সময় তাঁরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় বিষয়টি তার পিতাকে জানানো হলেও তিনি মৌ-মাছি চাষি সমিতির সভাপতির দাবি সঠিক জানিয়ে তাঁর ছেলেকে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। তাঁর অভিযোগ, সমিতির সভাপতির মাধ্যমে 
নিহতের পরিবারকে মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাঞ্ছারামপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগের পর তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন রিয়াজের আত্মহত্যা বা মৃত্যুর ঘটনা সেখানে গোপন করা হয়েছে।

এদিকে নিহত তরুণের পিতা মো. আব্দুল আলিম জানান, বুধবার বেলা ৩টার দিকে তাঁর ছেলের আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না দেখেননি দাবি করে তিনি বলেন, খামারমালিকের বক্তব্য সঠিক ধরে নিয়ে তিনি মৃতদেহ দাফনের চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে খামারমালিক সবুজ হোসেন বলেন, রিয়াজকে মারধর করা হয়নি। বরং তার প্রিয় শখের মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় সে আত্মহত্যা করায় মৃতদেহ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। মৌ-মাছি চাষি সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, কোনো টাকা লেনদেন হয়নি। খামারমালিকের পক্ষে তিনি নিহতের পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে লাশ নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ