পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
মেয়ের জন্য নতুন জামাকাপড়, জুতা, শীতবস্ত্র ও বিদেশি কম্বল নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন ফজিলা আক্তার পপি। ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে থেকে লাগা ভয়াবহ আগুনে কেড়ে নেয় পপির প্রাণ। ডিএনএ নমুনা দিলেও উদ্ধার করা লাশগুলোর মধ্যে পপির মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মায়ের মরদেহের খোঁজ চায় মেয়ে লামইয়া।
ফজিলা আক্তার পপি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে। জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র মেয়ে লামইয়া ও বৃদ্ধ মা-বাবার দেখাশোনা করতেন পপি।
নবম শ্রেণিতে পড়া পপির মেয়ে লামইয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে, ‘মায়ের স্বপ্ন ছিল আমাকে নার্স বানিয়ে গ্রামের মা-বোনদের সেবা করাবে। কিন্তু এখনতো মা নেই। আমি বৃদ্ধ নানা-নানির কাছে থাকি। জানি না তাঁরা কতটুকু লেখাপড়া করাতে পারবেন। মায়ের মরদেহটি শনাক্ত করা হোক।’
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে সিআইডি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।