পুঠিয়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে রনি ইসলাম নামের এক সেনা সদস্য তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রনি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়িতে ডেকে এনে মারধর করেছেন।
উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের হাড়খালি গ্রামে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
রনি ইসলামের শ্বশুর আল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আড়াই বছর আগে ভালুকগাছি নদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেনা সদস্য রনি ইসলামের সঙ্গে তাঁর মেয়ে মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাঁদের সঙ্গে যৌতুকের কোনো চুক্তি ছিল না। তবে জামাতাকে তিনি একটি মোটরসাইকেল উপহার দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রনি নগদ ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি মাঝে মধ্যে মীমকে মারধর করতেন। জামাতার মারধর থেকে রক্ষা করতে কয়েক মাস আগে মীমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় রনি ইসলাম তাঁর বাড়িতে এসে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে মীমকে মারধর শুরু করেন। মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে মীম মূর্ছা যান। পরে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে রনি ইসলাম যৌতুক চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এমনিতেই একটু ঝামেলা হয়েছে। আর মারধর নয়, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। বরং আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে তাঁদের বাড়িতে ডেকে এনে মারধর করেছেন।’
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মারধরের অভিযোগে গতকাল রোববার সকালে আহত আল ইসলামের ছেলে বাদী হয়ে থানায় একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।