বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নিয়ে এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশে। সেই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন অনেকে। হয়রানির শিকার হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। অনেকেই এ বিষয়ে নিন্দা জানাচ্ছেন, করছেন প্রতিবাদ। শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। অন্যদিকে, আর কোনো নাশকতা ও প্রাণনাশ দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী তারিন জাহান।
গতকাল ফেসবুকে সংগীতশিল্পী অর্ণবের আঁকা দুটি ছবি শেয়ার করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘বহু মানুষকে দেখেছি, যারা বিএনপি করে না, অনেকে আছে কোনো দলই করে না, কেউ কেউ ট্র্যাডিশনাল সফট টু আওয়ামী লীগ, সবাই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। মনে রাখবেন অরুন্ধতী রায়ের কথাটা, মানুষের মনের ভেতরের ক্ষোভ আর ঘৃণার চেয়ে বিধ্বংসী কোনো মারণাস্ত্র নাই। কোথায় ছাত্র-কিশোর-শিশু হত্যাকারীদের বিচার দেখার কথা, সেখানে আমাদের প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শুনতে হচ্ছে উদ্ভট সব কাহিনি! এই সব আজব শাক (পাবলিক রিলেশন্স) দিয়ে কি লাশের মিছিল ঢাকা যাবে? গেছে কোনো কালে? সারা দুনিয়ার মিডিয়া কী বলছে দেখেন।’
শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা প্রসঙ্গে ফারুকী লেখেন, ‘এখন শুনছি লুঙ্গি খুলে ধর্ম চেক করার মতো ছেলেমেয়েদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে রাস্তাঘাটে! রাতের বেলা বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! এটা কি কোনো অধিকৃত ভূমি? নাকি স্বাধীন দেশ? কয় প্রজন্মের মন বিষিয়ে তুলছেন এটা কি বুঝতে পারছেন? মানুষ কখন টিপিং পয়েন্টে পৌঁছে যায় জানেন তো?’
শেষে আহমেদ মোস্তফা কামালের এই লেখার সঙ্গে আরও কিছু কথা যোগ করে প্রিন্স মাহমুদ লেখেন, ‘যখন আমি দশম শ্রেণির ছাত্র তখন “রাজাকার আলবদর কিছুই রবে না রে” শিরোনামের একটি গান লিখেছিলাম। ১৯৮৪ সালে কবি লুৎফর রহমান রিটন ভাইকে দেখানোর পর তিনি অনেক প্রশংসা করেছিলেন। এর পাঁচ-ছয় বছর পর গানটি রেকর্ড হয়। তবে গানটি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি। আমিও প্রমোশন করিনি। কিন্তু এখন মনে হয় গানটি নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে।’
তারিন আরও লেখেন, ‘প্রিয় ঢাকাকে যেমন বদলে যেতে দেখেছি, তেমনি পরিচিত মানুষদের স্বরূপও বদলাতে দেখেছি। মতাদর্শের মিল নাও হতে পারে, তাই বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের মধ্যে শত্রু মনোভাব পোষণ শুধু পরিস্থিতিকে তিক্তই করে না, বরং দূরত্ব তৈরি করে। দিন শেষে সবার আগে দেশ, দেশের মানুষের মঙ্গল, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের সুরক্ষা।’