কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের জাবালুঙ্গা গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের স্ত্রী হতদরিদ্র বিধবা রাশেদা খাতুন (২৮)। ভূমি ও গৃহহীন এই নারীর ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ঘর-বাড়ি, বিধবাভাতা বা অন্য কোনো সহযোগিতা। শীর্ণদেহী অসহায় এই নারীর আশ্রয় এখন স্থানীয় এক শিক্ষকের গোয়াল ঘরে। তিনি এখন প্রশাসনের কাছে বিধবা ভাতা কিংবা থাকার জন্য আশ্রয় চান।
গতকাল শুক্রবার সকালে আদমপুর ইউনিয়নের টিউলিপ কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বাড়িতে দেখা হয় রাশেদার সঙ্গে। তিনি ছোট্ট এক গোয়াল ঘরের এক কোণের ভাঙা চৌকিতে থাকেন। তবু খুশি, ছেলে আলতাফ আলী (১০) কে নিয়ে বাস করতে পারছেন এই ঘরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী খয়েরপুর আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের বালিগাঁ গ্রামের বারিক মিয়ার মেয়ে রাশেদা খাতুন। ১১ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়, আদমপুর জাবালুঙ্গা গ্রামে। আবদুল খালেক ও রাশেদা দম্পতির একমাত্র সন্তান আলতাফ আলী। ভূমিহীন স্বামী আবদুল খালেক সাড়ে তিন বছর আগে মারা যান। ভূমি ও গৃহহীন অসহায় রাশেদার স্থান হয়নি বাপের বাড়িতেও।
রাশেদা খাতুন বলেন, ‘কপালের কি লেইখ্যা দিল খোদা জানি না, অল্প বয়সে স্বামী মরল। পুলাডারে (ছেলে) লেহাপড়া করাইতে পারলাম না। নাই বাড়িঘর, থাকতে না দিলে! শীতে মরতামনে। কইন্চে দেহি? আর কত গরিব হইলে সরকার সাহায্য করব।’
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. নাফিজুল হক শাওন বলেন, ‘তিনি যদি বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করে থাকেন, তা হলে ব্যবস্থাগ্রহন করব। না হলে, নতুন করে আবেদন করতে হবে।’