
জৈন্তাপুর উপজেলার বন্ধ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী চক্র। সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
সম্প্রতি বন্ধ রাখা পাথর কোয়ারি ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক শ শ্রমিক দিনের বেলায় ১২৮০ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকা থেকে দেদার পাথর উত্তোলন করে রাংপানি (শ্রীপুর) নদীর ধারে জড়ো করছেন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা পাথর নিয়ে যাওয়া হয় আসামপাড়া, ৪ নম্বর বাংলাবাজার, আদর্শগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে।
পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, মহাজনেরা পাথর উত্তোলনে করে নদীর পাশে জড়ো করেন। আমরা এক নৌকা পাথর উত্তোলন করলে ৮০০ টাকা মজুরি পাই। পেটের দায়ে শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন করি।
কথা হয় একজন পাথর ব্যবসায়ীর সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, গত দুই মাস ধরে বন্ধ থাকা শ্রীপুর পাথর কোয়ারি থেকে প্রভাবশালী একটি পাথরখেকো চক্র সীমান্তের ১২৮০ পিলার এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছে। সীমান্তে পাথর উত্তোলনে বিএসএফ বাধা দেয়। তারপরও পাথর উত্তোলন হচ্ছে।
জৈন্তাপুর ইউপির সাবেক সদস্য মো. ইসমাইল আলী বলেন, ‘আমি নিজেও শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে ব্যবসা বাণিজ্য করতাম। কিন্তু শ্রীপুর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনের অযোগ্য হওয়ায় সরকার ইজারা বাতিল করে। তারপর থেকে কোয়ারি বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি একটি চক্র সীমান্তে জিরো লাইন অতিক্রম করে পাথর উত্তোলন করছে।’
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জৈন্তাপুরে নতুন যোগদান করেছি। শ্রীপুরে বন্ধ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি কেউ আমাকে অবগত করেনি। বিষয়টির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, ‘শ্রীপুর কোয়ারি সরকারিভাবে বন্ধ রয়েছে। কোয়ারির জিরো লাইন থেকে পাথর উত্তোলন হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করছি। তিনি গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।’