রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু থেকে রংপুর শহর অভিমুখী সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ধসে গেছে লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের হাবু বালার ঘাট এলাকার সড়কের প্রায় অর্ধেক অংশ। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রংপুর-শেখ হাসিনা সেতু সড়ক। এটি বুড়িরহাট-কাকিনা-পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা-তুষভান্ডার হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটি দিয়ে লালমনিরহাট থেকে রংপুর শহরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
ছোট-বড় তিন হাজারের বেশি মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ধসে গেছে হাবু বালার ঘাটের ব্রিজ এলাকা।
ঘাট এলাকার আবু তালেব বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে সড়কের অর্ধেক অংশ ধসে গেছে। দিনরাত এই সড়ক দিয়ে যেভাবে লোকজন চলাচল করে, তাতে এই স্থানে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটি এখনই যদি সংস্কার করা না হয়, তাহলে আবারও বৃষ্টি হলে রাস্তাটির বাকি অংশও ধসে যাবে।
রংপুর থেকে লালমনিরহাটের কাকিনা এলাকায় রোগী নিতে আসা অ্যাম্বুলেন্সচালক মান্নান মিয়া বলেন, ‘আমাকে প্রতিদিন লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় রোগী নিতে প্রায় দুই থেকে তিনবার এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রোগীর লোকজন আমাদের মোবাইল ফোনে কল করলেই আমরা দ্রুত তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় দেখা যায় রোগীর সমস্যার কথা চিন্তা করে আমাদের একটু জোরেই গাড়ি চালাতে হয়। সড়কে এ ধরনের ভাঙন থাকলে আমাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়।’
রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া থেকে মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুতে ঘুরতে আসা জুয়েল রানা বলেন, ‘দূর থেকে দেখে বুঝতে পারিনি যে সড়কটি ভাঙা, কপাল ভালো যে একটুর জন্য আমার গাড়িটি বেঁচে গেল।’
লক্ষীটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, সড়কটি এখনই সংস্কার করা না হলে ধসে গিয়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি ধসে যাওয়ার বিষয়ে আমার জানা ছিল না। আমি অফিসের লোক পাঠিয়ে সড়কটি সংস্কার করে দেব।’