Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে এবার বিক্ষোভ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে এবার বিক্ষোভ

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের এমএসআর দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় বিধিবহির্ভূত শর্ত জুড়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শতাধিক শিক্ষার্থী, তরুণ ও শিক্ষকেরা। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধিবহির্ভূত শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। গ্রুপভিত্তিক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আলাদা আলাদা জামানত চাইলে আলাদা আলাদা ব্যাংক স্থিতিও চাইতে হবে, এটিই নিয়ম। কিন্তু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সব দরপত্রের জন্য একই পরিমাণ ব্যাংক স্থিতি চেয়েছেন। এ ছাড়া শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে চার বছর কাজ করার অভিজ্ঞতার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।’

বক্তারা আরও বলেন, বিশেষ ঠিকাদারকে বারবার কাজ দিতেই তত্ত্বাবধায়ক এমন শর্ত দিয়েছেন, যাতে অন্য ঠিকাদারেরা এই কাজ না পান। অর্থের বিনিময়ে তত্ত্বাবধায়ক কুড়িগ্রামের জনগণের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা এই দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের দাবি করছি।’ কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুর রহমান মুমিন বলেন, ‘পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দরপত্র থেকে কাগজ সরিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। তিনি বিক্রি হয়ে গেছেন। তত্ত্বাবধায়ক যদি বিক্রি হয়ে যান তাহলে স্বাস্থ্যসেবার মান কখনো ঠিক থাকবে না।’ 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সহকারী অধ্যাপক আবদুল কাদের বলেন, ‘এই তত্ত্বাবধায়ক উৎকোচ নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করেছেন। তিনি সিন্ডিকেটের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছেন। অবিলম্বে এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

প্রভাষক মামুন সেলিম বলেন, ‘দরিদ্র এই জেলায় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা লুটে খাচ্ছে এই সিন্ডিকেট। ফলে জনগণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে পকেটের টাকা খরচ করে ওষুধ কিনছেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ এক ঠিকাদার কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে। তাঁর সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে তত্ত্বাবধায়ক জড়িত। এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে হবে।’

তবে বিক্ষোভকারীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের দাবি ঠিক নয়। আমি বিধি অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। অন্য হাসপাতালেও একই ধরনের শর্ত দেওয়া হয়েছে।’

গ্রুপভিত্তিক দরপত্রে ভিন্ন ভিন্ন জামানত চাওয়া হলেও সব দরপত্রের জন্য একই পরিমাণ ব্যাংক স্থিতি চাওয়া বিধিসম্মত কি না, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব তিনি দেননি। তবে বিক্ষোভকারীদের পুনরায় দরপত্র আহ্বানের দাবি তিনি নাকচ করে দেন। দরপত্র মূল্যায়ন সম্পন্ন করে সর্বনিম্ন দরদাতাদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ