হোম > ছাপা সংস্করণ

উপাচার্য-শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম। শিক্ষক সমিতি গত ২৯ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর দুই সপ্তাহে স্থগিত হয়েছে পাঁচটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা। সাতটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কোনো উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়।

আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। কেউ কেউ অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বাসে করে বাড়ি ফিরে যান। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে ছাত্রলীগ ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় মানববন্ধন করছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য ও শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না। তাঁরা চান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। দুটি কোর্সের পরীক্ষায় বসলেও আরও দুটি কোর্স বাকি। এমনিতেই অনার্সে সেশনজটে পড়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, আরও দু-এক মাস পিছিয়ে পড়ব।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন অবশ্য শিগগির বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিন্ডিকেটের সভায় ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আশা করছি, খুব দ্রুততম সময়ে এই সমস্যার সমাধান হবে।’

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিলের পর থেকে অর্থনীতি বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং মার্কেটিং বিভাগের আটটি পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। আরও সাতটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেগুলোর রুটিন জমা হলেও প্রকাশ করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সূত্রপাত হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দিন। সেদিন বিকেলে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান শিক্ষকেরা। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান উপাচার্যকে ‘নব্য আলী জিন্নাহ’ আখ্যা দেন। তিনি ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন এবং ‘ডাস্টবিন’ বলে সম্বোধন করেন।

শিক্ষক সমিতি গত ১৩ মার্চ সাত দফা দাবিতে কর্মসূচি শুরু করে। এরপর ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার পরদিন উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ এপ্রিল দুপুরে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার সময় তাঁর সঙ্গে শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হলে শিক্ষক সমিতি উপাচার্য ও ট্রেজারারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ২৯ এপ্রিল থেকে সমিতি সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিনই সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

২৮ এপ্রিলের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে শিক্ষক সমিতি ও প্রশাসন ৷ এদিকে শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন ১৯ জন শিক্ষক।

এই অচলাবস্থা নিরসনের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি উপাচার্য কিংবা শিক্ষক সমিতিকে।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, তার প্রতিবাদে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু উপাচার্য সেই সমস্যার সমাধান না করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষক সমিতি এর সঙ্গে একমত নয়। আমরা চাই দ্রুত ভিসির অপসারণ এবং সমস্যার সমাধান। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক, তা চাই না।’

উপাচার্য বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ করার আগেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আসছিল শিক্ষক সমিতি।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন