Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

থাই পেয়ারায় দিনবদলের স্বপ্ন

ইমরান হোসাইন, পেকুয়া (কক্সবাজার)

থাই পেয়ারায় দিনবদলের স্বপ্ন

তিন একর জমি ৬০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়েছিলেন কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের সোইনছড়ি এলাকার কৃষক নবী হোছাইন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই জমিতে লাগান থাই পেয়ারা। ২২৫ টাকা করে চুয়াডাঙ্গা থেকে চারা কিনে এসেছিলেন। বর্তমানে গাছভর্তি পেয়ারা ও ফুল। প্রতিটি পেয়ারার ওজন ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। তিন একর জমিতে পেয়ারাগাছ রয়েছে ২ হাজার ৫০০টি।

সম্প্রতি কথা হয় বাগানের শ্রমিক মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। ইউনুস বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়ারা বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে দুই লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাঁর মতো আরও ৮-১০ জন এই বাগানে কাজ করেন।

কৃষক নবী হোছাইন বলেন, ‘পেকুয়ায় প্রথম আমি থাই পেয়ারার চাষ করেছি। উপকূলীয় এই পরিবেশে এই জাত খাপ খাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছি। তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এখন প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমি অত্যন্ত খুশি।’

নবী হোছাইন আরও বলেন, ‘আশা করি আগামী তিন মাসের মধ্যে মূলধন উঠে আসবে। বাগানে এ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’

পেকুয়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, ‘কৃষক নবী হোছাইনকে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব সহায়তা আমরা করেছি। সঠিক পরিচর্যা পেলে তাঁর গাছগুলো অন্তত ১০-১২ বছর ফলন দেবে। এই থাই পেয়ারা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারমূল্যও ভালো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ত পরিবেশে নতুন জাতের চাষ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে থাই পেয়ারা চাষে কৃষক নবী হোছাইনের সফলতা অন্য কৃষকদের মুগ্ধ করেছে। এই চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ