ক্রীড়া ডেস্ক
২০২২ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব। মানবজীবনে প্রতিটি দিন ও প্রতিটি ক্ষণই সম্ভাবনার কথা বলে। বছরের শেষ দিকে যেমন ফিরে দেখার রীতি, তেমনি বছরের শুরুতে করা যায় ভবিষ্যদ্বাণী। অবশ্য ভবিষ্যদ্বাণী করা সব সময়ই কঠিন। তবু ক্রীড়া বিশ্লেষণ আর যুক্তি দিয়ে দেখা যায় ২০২৩ সালে ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটতে পারে—
মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর
ছয়টি ব্যালন ডি’অর জিতে রেকর্ডটা আগেই গড়ে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। ২০২১ সালে সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিয়েছেন আরেকবার। এবার অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতারও সম্ভাবনা আছে মেসির।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচেছে তাঁর পায়ে। এমন জাদুকরী পারফরম্যান্সের পর মেসির ব্যালন ডি’অর না জেতাই হবে আশ্চর্যের বিষয়। তবে এবার থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বছর নয়, মৌসুমের হিসেবে।
আর্সেনালের প্রিমিয়ার লিগ
২০০৩-০৪ মৌসুমে কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের অধীনে সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল আর্সেনাল। ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ লিগে অজেয় থেকে শিরোপা জিতে রেকর্ডও গড়ে গানাররা। কিন্তু এরপর কেটেছে ১৮ বছর ৭ মাস। নিজেদের হারিয়ে খোঁজা আর্সেনাল ওয়েঙ্গারের সাবেক শিষ্য মিকেল আর্তেতার অধীনে চলতি মৌসুমে স্বপ্ন দেখছে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের।
ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পিএসজির দাপট। কিন্তু শত চেষ্টা করেও চ্যাম্পিয়নস লিগ এখনো অধরা রয়ে গেছে তাদের। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে প্যারিসে তারকার মেলা বসিয়েছেন পিএসজির মালিক আল খেলাইফি। ২০১৯-২০ মৌসুমে ফাইনাল খেললেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি ফরাসি জায়ান্টদের। ভেঙে যাওয়া স্বপ্নটা জোড়া দিতে গত মৌসুম থেকে পার্ক দে প্রিন্সেসে এসেছেন মেসি।
হালান্ডের গোলের রেকর্ড
ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর থেকে প্রিমিয়ার লিগে একের পর এক রেকর্ড গড়ে যাচ্ছেন আর্লিং হালান্ড। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, মাঠে নামলেই হয় গোল, নয়তো ভাঙছেন রেকর্ড। ইতিমধ্যে লিগে ১৫ ম্যাচে ২১ গোল করেছেন। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করা অ্যান্ডি কোল ও অ্যালেন শিয়েরারের রেকর্ডটিকেও চোখ রাঙাতে শুরু করেছেন হালান্ড।
নাদালের পাশে জোকোভিচ
করোনা প্রতিষেধক না নেওয়ায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারেননি। তবে এবার সেই নিষেধাজ্ঞা কেটেছে। বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামেই যদি খেলতে পারেন, তবে সর্বোচ্চ ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক রাফায়েল নাদালের পাশে বসতে পারেন নোভাক জোকোভিচ।