নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম একটি সড়কের নাম চান্দরচর-মহাজন সড়ক। সড়কটির মধ্যবর্তী স্থানে মাউলী খালের ওপরের সেতুটির স্ল্যাব ভেঙে খালে পড়ায় গত ৬ মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সেতুর ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটেও পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কৃষিপণ্য বাজারজাত করণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শত কৃষক।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, কালিয়ার উত্তরাঞ্চলের মানুষের নড়াইল জেলা সদরে কম সময়ে যাতায়াতের জন্য এই সেতুটি নির্মান করা হয়েছিল। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ে নির্মিত সেতুটি পুরোনো হয়ে ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের জেলা সদর, কালিয়া উপজেলা সদর, মহাজন বাজার, বড়দিয়া বন্দর বাজার, নড়াগাতী থানা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে সেতুটি ব্যবহার করা হত। গত বছর নভেম্বরে কাঠ বোঝাই একটি নছিমন গাড়ি যাওয়ার সময় স্ল্যাব ভেঙে খালে পড়লে ইকবাল হোসেন নামে এক নছিমন চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সেই থেকে সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
উপজেলার মাউলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোহাগ মোল্যা জানান, পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য তিনি দুই খানা বাঁশের মাচাল তৈরি করে ভাঙা অংশে দিয়েছেন। পথচারীদের সঙ্গে শিশু শিক্ষার্থীদেরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। যে কারণে ওই সব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয় কৃষিপণ্য বাজারজাত করণের ক্ষেত্রেও স্থানীয় কৃষকেরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের লোকজন সেই সময় দেখে গেলেও দীর্ঘ ৬ মাসেও এর কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রণব কান্তি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, অতি সম্প্রতি তিনি ঘটনাটি জেনেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।