রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ জন বাঙালি কাঠুরিয়া হত্যার ২৭ বছর পার হলেও কোনো বিচার না হওয়ায় হতাশ পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। গতকাল শুক্রবার ৩৫ কাঠুরিয়া বা পাকুয়াখালী গণহত্যার দিবসে জড়িতদের বিচারের দাবিতে শোক র্যালি, দোয়া, মোনাজাত ও আলোচনা সভা
করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদ থেকে শোক র্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের পাশে কাঠুরিয়াদের গণকবরের সামনে গিয়ে কবর জিয়ারত, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে শোকসভা করা হয়। উপজেলা ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মোমিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ ফরাজি সাকিব, নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আলমগীর কবির, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন, শেখ আহমেদ রাজু, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কায়ুম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, শেখ আহমেদ রাজু, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ, মোর্শেদা আক্তার, লংগদু প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মো. এখলাস মিঞা খান, নাগরিক পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি মো. সোলাইমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল চৌধুরী অপুসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন শান্তি বাহিনী লংগদু উপজেলার ৩৫ জন বাঙালি কাঠুরিয়াকে বাঘাইছড়ি ও লংগদুর মধ্যবর্তী এলাকার গহিন অরণ্য পাকুয়াখালীতে সভার নামে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। সে সময় ইউনুছ মিয়া নামে এক বাঙালি কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে পারায় এই হত্যাকাণ্ডের খবর জানা যায় এবং সেই কাঠুরিয়াদের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
সেই থেকে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা এই তারিখটিকে কাঠুরিয়া হত্যাকাণ্ড দিবস হিসেবে পালন করে এবং এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে।