শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শরীরে ছুরিকাঘাতের অসংখ্য চিহ্ন। খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনিরা। কাদা দিয়ে বুকের বাম পাশে ইংরেজি ‘এস’ ও ডান পাশে ‘এন’ অক্ষর লিখে রেখে যায়। ১৬ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্র হয়েছে এমন নৃশংসতার শিকার।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার একটি কচুখেত থেকে গত মঙ্গলবার ফাহিম ফয়সাল নামের এই শিক্ষার্থীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফাহিমের প্রতিবেশী ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) এবং বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেতগাড়ি এলাকার ওমর আলী (২২)।
এই ঘটনায় ফাহিমের মা শাপলা খাতুন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। স্বজনদের দাবি, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে ফাহিমকে। সে বগুড়া সুলতানগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
থানার এসআই শামীম হাসান এবং এসআই আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাহিমের কয়েক বন্ধুকে থানায় আনা হয়েছিল। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরে আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ওমর আলী এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, ‘ফাহিম হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁরা ফাহিমকে হত্যা করেছে বলে তাঁরা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আমরা সব খতিয়ে দেখছি।’