অনেকেই অনেক রকম পরামর্শ দেবে, কিন্তু রাস্তায় তোমাকে একাই হাঁটতে হবে। আমি কিছু পরামর্শ শেয়ার করব, যা আমি নিজে অনুসরণ করেছিলাম। যদি তোমাদের কারও ভালো লাগে, ফলো করতে পারো অথবা এটা থেকে আইডিয়া নিয়ে নিজের মতো করে একটা প্ল্যান সাজাতে পারো। পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে কোনো নতুন কিছু পড়ার দরকার নেই। যেগুলো পড়েছ সেগুলোই বারবার পড়বে। সহজ জিনিস ভুল করা বোকামি, কঠিন জিনিস প্রায় অনেকেরই ভুল হয়।
শেষ কয়েক দিনকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। আমি এভাবে ভাগ করেছিলাম।
প্রথম দিনে সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি; দ্বিতীয় দিনে পদার্থবিজ্ঞান রিভাইজ করে ফেলেছিলাম। তৃতীয় দিনে রসায়ন শেষ করেছি; চতুর্থ দিনে জীববিজ্ঞান শেষ করেছি। অর্থাৎ শেষ সাত দিনের মধ্যে প্রথম চার দিনে একবার রিভাইজ শেষ করেছিলাম। এরপর মাঝখানের দুই দিন অর্থাৎ পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে আরেকবার রিভাইজ শেষ করেছি। পঞ্চম দিনে পদার্থ, ইংলিশ ও সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি। ষষ্ঠ দিনে জীববিজ্ঞান ও রসায়ন অংশ শেষ করেছি। সপ্তম দিনে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান শুধু পড়েছিলাম। এক দিনেই তিনটি বই রিভাইজ শেষ করেছিলাম।
যে বিষয় মনে থাকছে না, অনেক সময় লাগছে—সেগুলো আর পড়ার দরকার নেই। যেমন: আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোনো সিনোনিম-অ্যান্টোনিম পড়িনি। ইংলিশ ও সাধারণ জ্ঞানটায় কম গুরুত্ব দিয়ে বোর্ডের বই বেশি ফোকাস করেছিলাম। আমি ভাবতাম, বোর্ড বইয়ের ৭৫ মার্কসের মধ্যে যদি ৭৫ কারেক্ট করতে পারি, তাহলেই চান্স হয়ে যাবে। সাধারণ জ্ঞান ও ইংরেজি মূলত আগের পড়াতেই হয়ে যায়।
ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন করণীয়
পরীক্ষার দিন করণীয়
একেক জনের একেক কৌশল
তুমি কোন বিষয়ে ভালো আর কোথায় তোমার দুর্বলতা, সেটা তো তুমিই সবচেয়ে ভালো জানো। একেক জনের পড়ার কৌশল একেক রকম। তাই তোমার পড়ার ধরনের সঙ্গে মেলে, এমনভাবেই কোনো পরিকল্পনা করা উচিত। কেউ একবার পড়লেই মনে থাকে, কারও একই জিনিস বারবার অনুশীলন করতে হয়। যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়, সেভাবেই একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে নাও। সৃষ্টিকর্তা সবার মনের আশা পূরণ করুন।
তানভীর তাসওয়ার তপু, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।