এখন অগ্রহায়ণ মাস। মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। কৃষক পাকা ধান কেটে তুলছেন গোলায়। এতেই কৃষক-কৃষাণীদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাঠে পড়েছে রোপা আমন ধান কাটার ধুম। এবার আমনের ফলনও বেশ ভালো। এ ছাড়া বরাবরের মতো শ্রমিকসংকট থাকলেও তার প্রভাব নেই বললেও চলে। কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটায় শ্রমিকের অভাব টের পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, কেউ কেউ পাকা ধান কেটে আঁটি বাঁধছেন। কেউবা আঁটি বাঁধা ধান বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। আর যাঁরা একটু আগেভাগে ধান কেটেছেন, তাঁরা রোদে শুকানোর কাজ করছেন। রোদে শুকানো ধান গোলায় তুলছেন। অনেকেই বিক্রি করছেন ধান। সবকিছু মিলিয়ে ব্যস্ততায় দিন পার করছে উপজেলার কৃষি পরিবারগুলো। কয়েকজন কৃষক জানান, সময়মতো বৃষ্টি ও জমিতে সার দিতে পারায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা লাভবান হবেন।
উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নয়া লম্বাহাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল সত্তার বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার ফলন ভালো। উপজেলার সব চাষি ধান কাটায় বেশ ব্যস্ত। ধান কেটে গুছিয়ে নিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। ধানের বাজারদরও ভালো। আশা করি, এবার আমরা লাভবান হব।’
ছাতক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, ‘ছাতকে আমন ধানের আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৭৫০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন থাকায় কম সময়ের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে ধান কাটা।’