ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪। আর অস্ট্রেলিয়ার ২৪। এখানেই পরিষ্কার দুদলের ব্যবধানটা যোজন যোজন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের বাইরেও ব্যবধানটা পরিষ্কার সবশেষ দুদলের লড়াইয়ের ফলে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত বছর নভেম্বরে নিজেদের মাটিতে ৭-০ গোলে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া!আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ যখন মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার, আগের সাক্ষাতের সেই দুঃস্মৃতি কি তাদের তাড়িয়ে ফিরবে না! ফিরছে নিশ্চয়। না হলে, সেই ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি না হতে দেওয়ার কথা বলবেন কেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘এই ম্যাচে ভালো খেলতে চাই। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ গোল হজম করেছিলাম। এবার দেশের মাঠে পারফরম্যান্সের উন্নতি চাই। আমরা এমন একটা ম্যাচ খেলতে চাই, যেটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, দর্শকদের জন্যও হবে আনন্দময় অভিজ্ঞতা। নিজেদের মাঠে খেলা, আমরা জানি, ঘরের মাঠে আমরা খুব খারাপ খেলি না।’
দল ভালো খেললে ঘরের মাঠ, পরের মাঠ কোনো ব্যাপারই না। তবু গত বছরের নভেম্বরে সেই বড় হারের পেছনে এখনো কারণ খুঁজে দেখছেন কাবরেরা, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭ গোল হজমের মূল কারণ ছিল, আমরা দ্রুত গোল খেয়েছিলাম। কালকের (আজ) ম্যাচে যেন এমনটা না হয়, সেটি আমাদের দায়িত্ব।’
একই কথা অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার মুখেও, ‘মেলবোর্নে অনেক ঠান্ডা ছিল। সবাইকে গ্লাভস পরে খেলতে হয়েছিল। এখানে নিজেদের মাঠে খেলা। অসংখ্য দর্শক থাকবে, সমর্থক থাকবে। পরিবারের সদস্যরাও থাকবে। আমরা এখানে নিজেদের মেলে ধরতে চাই। আমরা প্রমাণ করে দিতে চাই, মেলবোর্নে ৭ গোলে হারাটা বাজে দিনের একটা ঘটনা ছিল।’
মেলবোর্নের সেই পরাজয় যদি বাংলাদেশ দলের জন্য হয় দুঃস্মৃতি, তবে অবশ্যই সেটা সুখস্মৃতি সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য। তবে ম্যাচের আগে সেই সুখস্মৃতিতে ভাসতে চান না সকারুদের কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এবার নিজের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অস্ট্রেলিয়া দলকে গরম আবহাওয়ার মধ্যে খেলতে হবে। আমরা জানি, ঘরের মাঠে ওরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দল। হ্যাঁ, (গত বছর) নভেম্বরে এই বাংলাদেশকেই আমরা নিজেদের মাঠে ৭ গোলে হারিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা অতীত। কালকেরটি (আজ) সম্পূর্ণ নতুন একটা ম্যাচ।’