অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পা পড়ে, ক্যাঙারুর নাচে স্বাগত জানান সে দেশের বাসচালক। কারণ অস্ট্রেলিয়াকে বলা হয়, ক্যাঙারুর দেশ। অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণে গিয়ে ক্যাঙারু না দেখে আসা লোক কমই পাওয়া যাবে।
তবে এবার সেই ক্যাঙারু দেখতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া লাগবে না, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে মারসুপিয়াল গোত্রের এই স্তন্যপায়ী প্রাণীর।
গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টায় দুটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী ক্যাঙারু চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যুক্ত করা হয়। সঙ্গে দুটি পুরুষ লামা, চারটি স্ত্রী লামাও রয়েছে।
লামা আনা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। ক্যাঙারুর পিতৃভূমি অস্ট্রেলিয়া হলেও ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের (বন্দী প্রজনন) মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এসব প্রাণী আনায় হয়েছে নেদারল্যান্ডস থেকে; যা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রথম। তাদের দেখতে সকাল থেকেই ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। যদিও দুপুর থেকে সেগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
আব্দুল আওয়ালের ছোট ছেলে আবরার আহমেদ জানায়, সে ইউটিউবে ক্যাঙারু দেখেছে। বাস্তবে দেখতে চিড়িয়াখানায় আসা তার।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক জোড়া সিংহসহ আরও বিভিন্ন প্রাণী আসবে।’
ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এসব প্রাণী ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। রাত ৮টায় গাড়িতে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ভোরে চট্টগ্রামে আনা হয়। ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় ফ্যালকন ট্রেডার্স নামের বেসরকারি প্রাণী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার জন্য এসব প্রাণী সরবরাহ করে।