নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আসামি ছিনতাইয়ের সময় নিয়ে যাওয়া ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা ওয়ার্ডে মৌলভীবাজার রেললাইন-সংলগ্ন সড়কের পাশ থেকে ওই ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি।
জানা গেছে, গত শনিবার ইয়াবাসহ হানিফ ও দেলোয়ার নামে দুজনকে আটক করে কালুরঘাট ফাঁড়ির পুলিশ। এ সময় তাঁদের সহযোগীরা সড়ক অবরোধ করে ফাঁড়ি ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফাঁড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি তারা ওই দুই মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে নাজমা আক্তার নামে এক হামলাকারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। নিহত নারী ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারি হানিফের বোন।
এ ঘটনায় পুলিশ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২১০ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। ওই দিন রাতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের তিনজনসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আর কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাই হওয়া আসামি হানিফের পুরো পরিবার মাদক কারবারে জড়িত। মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হানিফের এক ভাইকে সুকৌশলে হিজড়া বানিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের একটি বাহিনী। যারা বিভিন্ন সময় এই চক্রকে সহযোগিতা করে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈনুর রহমান বলেন, একটি ব্যাগের ভেতর ওয়াকিটকিটি পাওয়া যায়। গত শনিবার হামলার সময় কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক শরীফ রোকনুজ্জামানের কাছে থাকা ওয়াকিটকি ছিনতাই হয়। তবে নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার নেই। আসামিদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে হানিফকে আটক করে র্যাব। খবর পেয়ে সড়ক অবরোধ করে তাঁকে ছিনিয়ে নেয় একদল হিজড়া।