নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
৩৬ বছর আগে ৬ বছর বয়সে মায়ের হাতে মার খেয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দাদার বাড়িতে চলে যায় হাসিনা আক্তার। দাদার বাড়ি থেকে চলে যান ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর লঞ্চঘাটে। সেখান থেকে লঞ্চে করে চলে আসে সদরঘাটে ৷
পরে কীভাবে বাড়ি যাবেন তা ভেবে কান্না শুরু করেন। হাসিনাকে কাঁদতে দেখেন কেরানীগঞ্জ বরশুরা বাজার এলাকার হাসিম উদ্দিন। নাম ঠিকানা বলতে না পারায় নিজের কাছে রেখে দেন তিনি। এভাবেই লালন পালন করে বড় করেন।
১৪ বছর বয়সে হাসিনাকে বিয়ে দেন নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের ফজলুর রহমানের সঙ্গে। যারা লালন পালন করে বিয়ে দেন, কিছু দিন পর তারা মারা যান। বর্তমানে হাসিনা আক্তার (৪০) ৬ সন্তানের জননী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আপন ঠিকানা’ নামের একটি অনুষ্ঠানে হাসিনা আক্তার নিজের হারিয়ে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা দেন।
পরে ঘটনা জানতে পেরে গত সোমবার খোরশেদ আলম নিজ মেয়ে, জামাই ও নানি নাতনিকে দেখতে নান্দাইলে যান।