সাতক্ষীরার বাজারে শুরু হয়েছে আম বেচাকেনা। গত বৃহস্পতিবার সকালে জেলার আমবাগান থেকে প্রথম পর্যায়ে আমচাষিদের গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, বৈশাখীসহ কয়েকটি জাতের আম পাড়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। বাগান থেকে আম সংগ্রহের পর আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা সুলতানপুর বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে নিয়ে আসছেন। তবে আমের দাম নিয়ে খুশি নন চাষিরা। তাঁরা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার দাম কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার সুলতানপুর বড়বাজারে ভ্যানে করে আম এসেছে। অন্য জেলা থেকেও ক্রেতারা এসেছেন আম কিনতে। সেখানে সদর উপজেলার মথুরেশপুর গ্রামের আমচাষি আতাউর রহমান বলেন, ‘এ বছর কয়েকবার শিলাবৃষ্টিতে আমের ক্ষতি হয়েছে। তাই উৎপাদন কম। তারপর দামও কম। গোবিন্দভোগ আম বিক্রি করে দাম পেয়েছি মণপ্রতি ২ হাজার ১০০ টাকা। অথচ গত বছর পেয়েছিলাম ৩ হাজার টাকা।’
সুলতানপুর বড়বাজারের আড়তদার আমিনুল হক বলেন, বাইরের জেলা থেকে ক্রেতা এখনো সেভাবে আসা শুরু করেনি। তাই আমের দাম কম। তবে কিছুদিনের মধ্যে ব্যাপারি আসা শুরু হলে দাম আবার জায়গায় চলে আসবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৫ হাজারেরও বেশি বাগানে আম চাষ হয়েছে। চাষি রয়েছেন ১৩ হাজার ১০০ জন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টন। ৫০০ হেক্টর জমিতে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আম চাষ করা হয়েছে। গত ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাইসহ কয়েকটি জাতের আম ভাঙা শুরু হয়েছে। ১৬ মে থেকে ভাঙা হবে হিমসাগর আম। ২৪ মে ল্যাংড়া ও ১ জুন ভাঙা হবে আম্রপালি।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘অপরিপক্ব আম যাতে কেউ না ভাঙে, সে জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে আমরা আম ভাঙার তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের আগে যদি কেউ আম ভাঙে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’