নগরীতে কাঁঠাল খাওয়ার ব্যতিক্রমী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠালের গুরুত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এ আয়োজন করা হয়।
কাঁঠাল খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নারী ও পুরুষ বিভাগে সেরা ছয়জনকে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাঁঠালবিষয়ক ছড়া লেখায় বিজয়ী তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যে কাঁঠালগাছের চারা বিতরণ করা হয়।
গত শুক্রবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাহিত্যের কাগজ ‘মৌচাক’। বেলা ১১টায় ফিতা কেটে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা।
এ সময় কাঁঠালের পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম মান্টু ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৌচাকের প্রধান উপদেষ্টা লেখক ও গবেষক রেজাউল করিম মুকুল। বক্তব্য দেন রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ-এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, অভিযাত্রিক সভাপতি লেখক রানা মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আতিক উল আলম কল্লোল, ভাওয়াইয়া শিল্পী খ ম আলী সম্রাট, কারমাইকেল কলেজছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
আলোচনা শেষে নারী ও পুরুষ বিভাগে কাঁঠাল খাওয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় নারীদের মধ্যে এস এম ইতি প্রথম, রুমকি রহমান দ্বিতীয় ও শাহিনা বেগম তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। পুরুষ বিভাগে সোহানুর রহমান শাহিন প্রথম, স্বপন চৌধুরী দ্বিতীয় ও এস এ অপু তৃতীয় হন।
এ ছাড়া দেশব্যাপী কাঁঠালবিষয়ক ছড়া লেখায় দিনাজপুরের লুৎফর রহমান প্রথম, গাইবান্ধার আতাউর রহমান লিটন দ্বিতীয় ও ঢাকার উম্মে হাবিবা সূচনা তৃতীয় হন।
বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে সব প্রতিযোগীর হাতে একটি করে কাঁঠালগাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।
এই প্রতিযোগিতা থেকে পাওয়া অর্থ কুড়িগ্রাম ও রংপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৌচাক সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন।