ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অসহায় শিক্ষার্থী রোজিনা আক্তার ও নুর ভানু অবশেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন। গত রোববার তাঁদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন সাংসদ আলী আজম মুকুল।
জানা গেছে, পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় শিক্ষার্থী রোজিনা মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে থাকেন। বেড়ায় পলিথিনের ছাউনি দিয়ে কোনো মতে থাকতেন তাঁরা। রোজিনার বাবা তাঁর মাকে ছেড়ে অন্যত্র সংসার পেতেছেন। অসহায় মা নাজমা বেগম দরজির কাজ করে সংসার চালান। রোজিনার নানা বয়সের ভারে ন্যুব্জ। শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। ফলে নাজমা বেগমের পক্ষে তিন সদস্যের সংসার চালানো দায়। তার ওপর মেয়ের পড়ালেখার খরচ তো রয়েছে।
সম্প্রতি ভাঙা ঘরে বৃষ্টিতে ভিজে পড়ালেখার খবর স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় সাংসদের। তখন তাঁদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাংসদ।
রোজিনা আক্তার বলে, ‘বাবা ২০০৪ সালে আমাদের ছেড়ে চলে যান। অসহায় নানার জরাজীর্ণ বাসায়ই রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে এতটা দিন কাটিয়েছি। সাংসদ আমাদের ঘর দিয়েছেন, আমার পড়ালেখার খরচ দিচ্ছেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।’
শুধু রোজিনা নয়, ভিক্ষা করে আহার জোগানো নুরবানুকেও ঘর দিয়েছেন সাংসদ। নুরবানু বলেন, ‘স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। এরপর থেকে ভিক্ষা করে পেট চালাই। থাহার ঘর আছিলো না, পলিথিন দিয়ে থাকতাম। আইজ এমপি সাব ঘর দিছে। আমাগো গরিবের জন্য হলেও আল্লাহ তাঁরে বাচাইয়া রাখেন।’
ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলী আজম মুকুল বলেন, ‘অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটুক তা চাই। এ জন্য ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ প্রমুখ।