রাজশাহীর বাগমারায় মাহাবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির পুকুরে সুপারি গাছ ফেলে মাছ নিধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে পুকুরের মালিক বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের হলুদঘর গ্রামে প্রায় তিন বছর ধরে একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন মাহাবুর রহমান। নিষেধ করা সত্ত্বেও তাঁর পুকুরে কয়েক দিনে ১০-১২টি সুপারি গাছ ফেলা হয়। একই এলাকার আফসার আলী এই কাজে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুকুরের পানিতে সেসব গাছ পচে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং মঙ্গলবার রাত থেকে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। এরপর পুকুরে ফেলা সেসব সুপারি গাছ ওঠাতে গেলেও আফসার আলী নিষেধ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান।
সরেজমিনে পুকুরে গিয়ে দেখা যায় রুই, কাতল, মৃগেল, জাপানি সিলভারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পচে গিয়ে পানিতে ভাসছে। মাছগুলো পচে ভেসে ওঠায় বিক্রির উপযোগী নেই। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাহাবুর রহমান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল করিম বলেন, সুপারি গাছ অত্যন্ত খারাপ। অতিরিক্ত সুপারি গাছ কয়েক দিন পানিতে থাকায় তা পচে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মাছগুলো হয়তো মরে ভেসে উঠেছে। তবে পুকুরের পানিতে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলা হলে এতটা ক্ষতি হতো না।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুকুরে সুপারি গাছ ফেলে মাছ নিধনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।