Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া ‘মাঙ্কিপক্স’ প্রতিরোধে চট্টগ্রামেও বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীর মধ্যে এই রোগের লক্ষণ থাকলে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত দেশ থেকে কোনো যাত্রী এলে চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্যানিংসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এই রোগটি নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। এই রোগ কোনো মহামারির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে কি না, সেটি এখনো বলার সময় আসেনি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী এই দুই বন্দরে করোনার সময় কাজ করা চিকিৎসক-নার্সরা দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো ব্যক্তির যদি মাঙ্কিপক্সের চিহ্ন থাকে কিংবা লক্ষণ পাওয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে আইইডিসিআরসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে বলা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার সময় তৈরি করা স্ক্যানিংসহ নানা স্বাস্থ্য পরীক্ষা বন্দরের ১ নম্বর গেটে করার সুবিধা রয়েছে। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক ফরহাদ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক থেকে মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনাসংবলিত দুটি চিঠি পেয়েছি। আক্রান্ত দেশ বা মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ থাকলে আমরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। তবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।’

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মাঙ্কিপক্স এখন পর্যন্ত ১২টি দেশে ছড়িয়েছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার এ ভাইরাসটি বিশ্বে এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশনায়, দেশের সব বন্দরে বিশেষ সতর্কতা দেওয়া হয়।

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং হেলথ স্ক্যানিং জোরদার করতে বলা হয়। পাশাপাশি সন্দেহজনক কোনো রোগী পাওয়া গেলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠাতেও নির্দেশনায় বলা হয়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আব্দুর রব মাসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই রোগটি আগে থেকে ছিল। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীরা এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবুও আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ