Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

আমানতকারীরা পাচ্ছেন না ডাকঘরে রাখা টাকা

মির্জাপুর প্রতিনিধি

আমানতকারীরা পাচ্ছেন না ডাকঘরে রাখা টাকা

মির্জাপুর উপজেলার সদর ডাকঘরে আমানতকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ আমানতকারীদের। প্রয়োজনে টাকা উত্তোলন করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন উপজেলার অনেকে। দিনের পর দিন ডাকঘরে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসছেন তাঁরা।

গত বৃহস্পতিবার ডাকঘরে গিয়ে দেখা গেছে, অ শতাধিক আমানতকারী টাকা তোলার জন্য ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদের চোখে-মুখে ক্ষোভ, হতাশা আর উৎকণ্ঠা। সময়মতো টাকা উত্তোলনে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁদের মধ্যে পোস্ট অফিস নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। পোস্ট মাস্টার নিয়মিত অফিসে আসছেন না বলেও অভিযোগ শোনা গেছে। আমানতকারীদের ধারণা, পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পোস্টমাস্টার নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাকঘরে কর্মরত একাধিক কর্মচারী জানান, ৩৫ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন আরও প্রায় কোটি টাকার চাহিদা তৈরি হচ্ছে কিন্তু ডাকঘর টাকা পারছে না। ১লা অক্টোবর থেকে কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন এক কোটি টাকা সরবরাহ করলেও তা আবার বন্ধ হয়ে গেছে। গত জুলাই মাস থেকে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানান তারা। এমন পরিস্থিতে আমানতকারীরা তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন।’

শামছুল আলম নামের আরেক আমানতকারী বলেন, ‘পোস্ট অফিসে ৫ লাখ টাকা রাখছিলাম। একটা জমির বায়না করেছি কিন্তু টাকার জন্য দলিল করতে পারছি না। তিন মাস হলো টাকার জন্য ঘুরছি। পোস্ট অফিসের লোকজন আজকে আসেন, কালকে আসেন বলছেন।’

ফজল দেওয়ান নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার মেয়ে দুলাখ টাকা রেখেছিল ডাকঘরে। টাকা উত্তোলনের জন্য দিনের পর দিন ঘুরছে আমার মেয়ে। আমিও ১৫-২০ দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু টাকা ওঠাতে পারছি না। তারিখ দেয় কিন্তু টাকা দেয় না।’

পোস্ট অফিস সংলগ্ন বাসিন্দা ফজলু মিয়া বলেন, ‘বছরে ডাক ঘরের এমন অবস্থা দেখিনি। প্রতিদিন মানুষ টাকার জন্য পোস্ট অফিসে এসে কান্নাকাটি করেন। কারও কারও হার্ট ফেল করার উপক্রম হয়। আমি তাঁদের মাথায় পানি দিই। সরকারের কাছে দাবি জানাই যেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোস্টমাস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, ব্যবস্থা চালু হওয়ায় এখন পোস্ট অফিসে কোন টাকা জমা নেয়া হয় না। এদিকে মির্জাপুরে যে পরিমান টাকা চাহিদা রয়েছে তার অর্ধেকও না দেয়াতে এই সমস্যা হচ্ছে। উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ