গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়েটি এখন ভয়ে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সতীরজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্কুলছাত্রীর বাবা। অভিযুক্ত দুই কিশোরের বয়স যথাক্রমে ১৬ ও ১৭ বছর। তারা উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের সতীরজান এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই মেয়েটিকে পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে দুই কিশোর। তাদের অভিভাবকদের এটি জানানো হলে তাঁরা সন্তানদের শাসন না করে উল্টো মেয়ের বাবাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ ছাড়া ওই ছাত্রীর মা-বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রমোদ চন্দ্রের কাছে বিচার চান। কিন্তু তিনি ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। পরে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ দেওয়ার পর তা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন দুই কিশোরের অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে কথা হলে প্রমোদ চন্দ্র টাকা দাবি করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার কাছে বিচার চাইতে এসেছিলেন। সব শুনে মনে হয়েছে ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য নয়। তবে দুপক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে গতকাল শনিবার ইউএনও মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কঞ্চিবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’