Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ডিমলায় কয়েকটি চর প্লাবিত পানিবন্দী ৩ শতাধিক পরিবার

নীলফামারী ও ডিমলা সংবাদদাতা 

ডিমলায় কয়েকটি চর প্লাবিত পানিবন্দী ৩ শতাধিক পরিবার

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা বরাবর (৫২ দশমিক ৬০ মিটার) প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলার কয়েকটি চর প্লাবিত হয়। এদিকে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী স্বপন বাঁধ মসজিদপাড়ার তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে নদীতে পানির চাপ কমায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়েছে তিস্তা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা আজকের পত্রিকাকে জানান, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গতকাল রাত থেকে পানির প্রবাহ বিপৎসীমার বরাবর ছিল। বিকেলের পর পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে রাতে ফের পানি বাড়তে পারে। এ জন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের মসজিদপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় স্বপন বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে রাতে আকস্মিকভাবে পানি বেড়ে বাড়িঘর ডুবে গেছে। স্থানীয়রা জানান, যেকোনো সময় তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গ্রামটি নদীগর্ভে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এখানে পানিবন্দী তিন শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসল ও রাস্তাঘাট।

স্বপন বাঁধ এলাকার বাসিন্দা সবুজ ইসলাম জানান, গত বন্যায় আমাদের গ্রাম রক্ষা তিস্তা নদীসংলগ্ন স্বপন বাঁধটি ভেঙে যায়। বছর পেরিয়ে গেলেও বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত হয়নি। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙা অংশ দিয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি খুব বেশি না বাড়লেও উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় তিস্তার পানি বেড়ে যায়। গ্রামে রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মসজিদপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সচিব রহমান বলেন, বালু দিয়ে ভরাট হয়ে তিস্তা নদীর পেট মূল ভূখণ্ডের সমান হয়েছে। এ কারণে সামান্য পানিতেও তিস্তা নদীর পানি উপচে গিয়ে নদী পাড়ের গ্রামগুলো প্লাবিত করে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাদের বাড়িতে পানি উঠেছে, কিন্তু পানি নামছে না বলে জানান তিনি।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জানান, ‘বুধবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে। ইতিমধ্যে মজিদপাড়া, টাবুরচর, পূর্ব খড়িবাড়ি, বাঘের চর, জিঞ্জিরপাড়াসহ ছয়টি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।’ ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়া পরিবারগুলোর খোঁজখবর সার্বক্ষণিক রাখা হচ্ছে। যাঁরা ঝুঁকিতে রয়েছেন, দ্রুত তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ