বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
গত মঙ্গলবার সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি। শপথ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান সমিতির কয়েকজন সদস্য। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মারামারি-ধস্তাধস্তি, চেয়ার ছোড়াছুড়ির মতো কাণ্ড ঘটিয়ে জয় চৌধুরী, শিবা শানু, আলেকজান্ডার বোসহ সমিতির একদল সদস্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন।
এতে খবরের কাগজ, দেশ টিভি, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ২০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হন। শিল্পী সমিতির এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তের জন্য সমিতির সদস্য ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।
এসব দাবির মধ্যে রয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা, দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা, তাঁদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিপূরণ আদায় ইত্যাদি। তবে সারা দিনে এক বিবৃতি দেওয়া ছাড়া শিল্পী সমিতির নেতাদের আর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকেরা। এমনকি আহতদের খোঁজও নেননি শিল্পী সমিতির কেউ।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বেলা ৩টায় এফডিসির সামনে মানববন্ধন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ। গতকাল রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির আলোচনা চলছিল।
এমন ব্যবহারের পর শিবা সানুর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সাংবাদিকদের। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় নেতৃত্ব দেন শিবা শানু, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও আসেন এফডিসিতে।