Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ব্রিকস জোট ও বাস্তবতা

সম্পাদকীয়

ব্রিকস জোট ও বাস্তবতা

ব্রিকস জোট কোনো যুদ্ধের জোট না হলেও তা যে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা, দেশগুলো মিলেই তৈরি করেছিল এই আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। প্রতিটি দেশের আদ্যাক্ষর দিয়ে তৈরি হওয়া এই জোটে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল আর দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বছর অনেকগুলো নতুন দেশ পেতে পারে জোটের সদস্যপদ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন যেভাবে বিশ্ব অর্থনীতিকে পর্যুদস্ত করে রেখেছে, তাতে ব্রিকস কোনো সুবাতাস বয়ে আনতে পারবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। উদীয়মান অর্থনীতির এই জোট যে সম্প্রসারিত হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের শীর্ষ বৈঠক হবে ২০২৩ সালের ২২ থেকে ২৪ আগস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি অনিল সুকলাল জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ২০টির বেশি দেশ ব্রিকস জোটের সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছে। ব্রিকস গঠনের তারিখটি ধরা হয় ২০০৯ সালের ১৬ জুন। এর আগে ২০০৬ সালে জাতিসংঘের ৬১তম অধিবেশনের সময় উদীয়মান অর্থনীতির চারটি দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিল ‘ব্রিক’ বিষয়ে। চারটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত জোটটির নাম ছিল ‘ব্রিক’—ব্রাজিল, ভারত (ইন্ডিয়া), রাশিয়া আর চীন ছিল সদস্য।। ২০১১ সালেই শুধু তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে জোটের সদস্য 
করে নিয়েছিল।

অনিল সুকলালের কথাকে গুরুত্ব দিলে দেখা যাবে, মূলত প্রায় ২২টি দেশ যেমন আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে, তেমনি আরও ২০টির বেশি দেশ অনানুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের সদস্য হওয়ার কথা ভাবছে। যারা ব্রিকসে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছে, তাদের মধ্যে আরব বিশ্বের সাতটি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি হলো তেল উৎপাদনকারী দেশ। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, বাহরাইন, মিসর ও সুদান আনুষ্ঠানিকভাবেই ব্রিকসের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। ইরানকে সদস্য করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, থাইল্যান্ড, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, কিউবা, কাজাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াও জোটে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। 
তবে বলে রাখা ভালো, আবেদন করলেই দেশগুলো ব্রিকসের পূর্ণ সদস্য হয়ে যাবে, তা নয়। যে পাঁচটি দেশ এখন ব্রিকস জোটের সদস্য, তাদের প্রতিটি দেশের সম্মতি লাগবে পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য। এ ছাড়া ব্রিকস সদস্যদেশগুলোর জিডিপি কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ডলার হতে হবে। বর্তমানে ব্রিকস জোটের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অর্থনীতি হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। সেটা ৪১৯ বিলিয়ন ডলার।

ব্রিকস সম্প্রসারিত হলে তা মূলত জি-সেভেনের সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে। ব্রিকস দেশগুলো বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা দখল করে আছে। বিশ্ব জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এই দেশগুলোয় বাস করে। ব্রিকস সম্প্রসারিত হলে বিশ্ব ভূরাজনীতি পাল্টে যাবে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। সেটা বিশ্বের খেটে খাওয়া মানুষকে কতটা স্বস্তি দেবে, সেটাই দেখার বিষয়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ