অসময়ে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে-ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ। ছোট-বড় ইলিশ যাচ্ছে ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারেও দেখা মিলছে প্রচুর ইলিশ। এমন সময়ে ইলিশের ছড়াছড়িতে অবাক ক্রেতারা। বাজারে চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক, দামও ক্রেতাদের নাগালে।
জেলে ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। তবে গতবার ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা পাননি জেলেরা। পৌষ-মাঘ মাসে মেঘনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ফলে জেলে, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
রোববার সকালে শশীগঞ্জ মাছঘাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২৫০-৪০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ইলিশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ৪৫০-৭০০ গ্রামের প্রতি হালি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, ৭৫০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজির ওপরে প্রতি হালি ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ বর্ষা মৌসুমে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের হালি ছিল ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন।
শশীগঞ্জ ঘাটের জেলে মফিজ মাঝি জানান, ছয় জেলে মিলে একদিন মাছ ধরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করেছেন।
আলাউদ্দিন মাঝি, জামাল মাঝি, মতিন মাঝিসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা দৈনিক ২০-২৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করছেন। বর্ষা মৌসুমে দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার মাছও বিক্রি করতে পারেননি তাঁরা।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন মৌসুম, অভয়াশ্রম, জাটকা রক্ষা অভিযান, অবৈধ জাল উচ্ছেদের অভিযান ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষা অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। ফলে এখন জেলেদের জালে বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে।’