বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার অভিযোগ করেন অভিনেত্রী দিলরুবা হোসেন দোয়েল। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমাটি ২০২১ সালে মুক্তি পেলেও এখনো অনেক কলাকুশলীর টাকা বকেয়া আছে দাবি অভিনেত্রীর। এমন অভিযোগে অবাক হয়েছেন রাশেদ চৌধুরী।
গতকাল এ বিষয়ে আজকের পত্রিকার বিনোদন পাতায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা নির্মাতা রাশেদ চৌধুরীর নজরে আসে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা সত্যিই খুব দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। দোয়েলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। তিনি কখনোই আমাকে পাওনার কথা জানাননি। অনেক সময় পুরো পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে কিছু সময় লেগে যায়, কিন্তু তাই বলে এভাবে ঢালাও মন্তব্য করা ঠিক না। তাঁর এমন মন্তব্য শুনে অবাক হয়েছি।’
নির্মাতা আরও বলেন, ‘ছয় বছর হয়েছে চন্দ্রাবতী কথা সিনেমা শেষ করেছি, বেঙ্গল ক্রিয়েশন্স এ সিনেমার সম্পূর্ণ প্রযোজনা স্বত্ব নিয়েছে। পারিশ্রমিকের বিষয়টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেখে। বেঙ্গলের অফিস থেকে দোয়েল নিজেও পেমেন্ট নিয়েছেন একবার। সিনেমার কোনো ক্রু বা কাস্ট আমাকে ফোনে বা মেসেজে জানাননি যে এখনো তাঁদের পাওনা বকেয়া আছে। সিনেমা রিলিজের পর অনেক অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। তখনো আমাকে কেউ এমন তথ্য জানাননি। জানলে আমি এ বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলতাম।’
সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ যদি টাকা পেয়ে থাকেন, তাহলে তা পরিশোধ করে দেওয়ার কথা জানান নির্মাতা। রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তিপত্র অনুযায়ী কারও যদি আমার সিনেমার কাজে কোনো টাকা বকেয়া থেকে থাকে, তাহলে আমি নিজে চেষ্টা করব সেটা পরিশোধ করতে। আর যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরাও অন্তত জানেন, যেকোনো সিনেমার কাজে আমি সর্বোচ্চ সৎ থাকার চেষ্টা করি। তবে, অজান্তে কোনো ভুল হয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
চন্দ্রাবতী কথা সিনেমার খরচের হিসাবের ফাইল পাঠিয়েছেন নির্মাতা। ২০১৮ সালের সেই ডকুমেন্ট অনুযায়ী, এ সিনেমা বাবদ ১০ হাজার টাকা পাওনা আছেন দিলরুবা দোয়েল। আরও কয়েকজন শিল্পীর পারিশ্রমিকের কিছু অংশ বকেয়া আছে।