চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ থেকে গরু কিনতে চুয়াডাঙ্গায় যাওয়ার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন একই পরিবারের চারজন। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে মাওয়া থেকে আলসানি পরিবহনে ওঠেন তাঁরা। বাসের মধ্যে তাঁরা হকারের শসা খেয়ে অজ্ঞান হন। পরে তাঁদের সঙ্গে থাকা গরু কেনার ৮ লাখ টাকা খোয়া যায়।
ভুক্তভোগীরা হলেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানাধীন বারুইখালী গ্রামের মৃত শেখ হায়াত আলীর ছেলে শেখ সাহাবদ্দীন সেন্টু (৪৫), তাঁর ছেলে শেখ নিবিড় (২২), ভাই শেখ হারেজ আলী (৫০) এবং চাচাতো ভাই দিদার হোসেন (৫০)।
শেখ নিবিড় বলেন, ‘খামারের জন্য প্রায়ই কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি হাটে গরু কিনতে আসি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মাওয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে চারজন আলসানি পরিবহনে উঠি। পথের মধ্যে বাসে কাটা পেয়ারা ও শসা বিক্রেতা উঠলে সবাই তা খাই। এরপরই আমরা অচেতন হয়ে পড়ি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আমারসহ দুজনের চেতনা ফিরে। আমাদের সবগুলো ব্যাগ ও মোবাইল আছে, শুধু গরু কেনার ৮ লাখ টাকা নেই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চারজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তাঁরা বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে বলে জানতে পারি। দুজনের চেতনা ফিরেছে। অন্য দুজনকে জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাঁরা শঙ্কামুক্ত।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বাসের মধ্যে পেয়ারা ও শসা খেয়েছিলেন ভুক্তভোগী চারজন। এরপর তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। আলসানি পরিবহনের সুপারভাইজার তাঁদের বড় বাজার নামিয়ে দিলে পুলিশ চারজনকে সদর হাসপাতালে নেয়। তাঁরা নিজেদের খামারের জন্য গরু কিনতে চুয়াডাঙ্গা আসছিলেন। চারজনের মধ্যে দুজন কথা বলতে পারলেও তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ নন। সুস্থ হলে তাঁদের কাছ থেকে কত টাকা খোয়া গেছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।’