ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম গত শুক্রবার এক ইমেইল বার্তায় এ কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন।
কুয়েট কর্তৃপক্ষ বলছে, আবাসিক হলে অন্তুর ভর্তি ও সিট বরাদ্দ বাবদ ৬ হাজার ৬৫৫ টাকা বকেয়া ছিল। কিন্তু এই টাকার জন্য তাঁকে কখনও চাপ দেওয়া হয়নি। আর্থিক চাপে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেননি।
রবিউল ইসলামের ইমেইল বার্তায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম. এ. রশীদ হলে অন্তু রায়ের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত হলে ভর্তি ও সিট বরাদ্দ বাবদ বকেয়া ছিল ৬ হাজার ৬৫৫ টাকা। অন্তু কখনও হলে ডাইনিং ব্যবহার করেনি।
ফলে তার খাওয়া বাবদ কোনো বকেয়া নেই এবং এজন্য তাকে নন-বোর্ডার করার কোনো বিষয় নেই। হলের পক্ষ থেকেও টাকা পরিশোধের জন্য তাকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। বরং তার পারিবারিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তাঁকে হলে থাকার ব্যবস্থাও করেছিল।
ই-মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, হলের বকেয়া টাকার সঙ্গে সেন্ট্রাল ভাইভার কোনো সম্পর্ক নেই। অন্তু রায় দ্বিতীয় বর্ষে সব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেন্ট্রাল ভাইভায় অংশ নেননি এবং এর কোনো কারণও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। বিষয়টি জানতেই তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি টি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এদিকে একটি পক্ষ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কৌশলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।
এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অন্তু রায়ের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে সমবেদনা জানানোর পর শুক্রবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়, ৬ হাজার টাকার জন্য অন্তু রায়কে ভাইভা পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনাকালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।