মির্জাপুরের একটি হাসপাতালে নবজাতক পরিবর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই প্রসূতি ও তাঁর স্বামীর অভিযোগ, তাঁদের ছেলেসন্তান জন্ম হলেও হাসপাতাল থেকে মেয়েসন্তান দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর পরিবার ছেলেসন্তানের দাবি জানিয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামের আরশাদুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ২৬ অক্টোবর একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। এর আগে ওই হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হলে চিকিৎসক ছেলেসন্তান হবে বলে জানান। গত বুধবার সিজারের মাধ্যমে সুমাইয়ার ছেলেসন্তান হয় বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে এনআইসি থেকে সুমাইয়ার পরিবারের কাছে পুত্রসন্তানের পরিবর্তে কন্যাসন্তান তুলে দেওয়া হয়। সুমাইয়া ও তাঁর পরিবার এ ঘটনা মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালে তোলপাড় শুরু হয়।
সুমাইয়ার স্বামী আরশাদুল ও বোন শারমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের ছেলেসন্তান হয়েছে, এটা নিশ্চিত। হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী লোভের বশবর্তী হয়ে এ কাজ করছেন।’ ছেলেসন্তানের দাবিতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের কাগজপত্রে সুমাইয়ার কন্যাসন্তান হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। যেহেতু অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে সুমাইয়ার পরিবার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন অভিযোগের কথা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।