হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলিতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। বিক্রিও ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে বেশ কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা কম। সকালের দিকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও বিকেলের পর থেকে বাড়তি শীত অনুভূত হচ্ছে। সাধারণত সন্ধ্যার পর বাজারে চায়ের স্টলগুলোতে মানুষের জমজমাট আড্ডা দেখা যায়। তবে শীত বাড়তে থাকায় কদিন ধরে বাজারে মানুষের পদচারণা কম দেখা যাচ্ছে।
পোশাক কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়েছে। শীতের পোশাক না থাকায় ছেলে-মেয়েরা শীতে কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাঁদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে বাজারে এসেছি। বাজারে বড় দোকানে বাড়তি দামে কাপড় কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। ফুটপাতে কম দামে ভালো কাপড় কেনা যায়। এতে আমাদের সুবিধা হয়।’
হিলি বাজারের ফুটপাতে পোশাক কিনতে আসা মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘হিমেল বাতাসের কারণে খুব ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডার কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। সে জন্য এসেছি সোয়েটার কিনতে। তবে দাম বেশি।’’
হিলি বাজারের ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা মোশারফ হোসেন ও মাসুদ রানা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শীত তেমন না পড়ার কারণে আমাদের বেচাকেনা তেমন একটা ছিল না। কিন্তু কদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাপ বাড়ছে। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের ও বড়দের শীতের কাপড়ই বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
গরম পোশাকের বেশি দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার মোকামে সব ধরনের কাপড়ের দাম বেশি। আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে করে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিকে, দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বছরের শুরুতেই একটি শৈত্যপ্রবাহ দেশের উত্তরের কিছু কিছু স্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।