বাড়িঘর-কবরস্থান, খেত-খামার পানিতে তলিয়ে গেছে। যেদিকে দেখা যায়, পানি আর পানি। ঘর থেকে বের হতে গেলেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পানিবন্দী মানুষের।
গতকাল রোববার যশোরের কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা, পাথরঘাটা, বাগডাঙ্গা-মনোহরনগর গ্রামে গিয়ে এমন ভোগান্তির দৃশ্য দেখা যায়। কাটাখালি খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে শনিবার বিকেলে মাদারডাঙ্গা গ্রামের কিনা বিশ্বাসের মেয়ে নবু বেগম নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তাঁর ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর যেন বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়, কিন্তু কবরস্থান পানিতে তলিয়ে থাকায় তাঁর ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তাঁর মরদেহ অন্যত্র নিয়ে দাফন করতে হয়েছে।
মাদারডাঙ্গা গ্রামবাসী জানান, মনিরামপুর অঞ্চলের ঘের মালিকদের সেচ দেওয়া পানি খালে ফেলায় ওই পানির চাপের সঙ্গে গত শুক্রবারের বৃষ্টিতে আকবর আলীর মাছের ঘেরের বেড়ি ভেঙে পানি এলাকায় ঢুকে বাড়িসহ খেত খামার ও কবরস্থান তলিয়ে গেছে।
গ্রামের রিজাউল শেখ বলেন, ‘প্রায় দুই মাস পানিতে তলিয়ে ছিল আমাদের গ্রামের বাড়িঘর। সম্প্রতি ঘের মালিকেরা পানি সেচ দেওয়ার পর এলাকা থেকে পানি সরে গিয়েছিল। তবে শুক্রবার থেকে আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।’
উপজেলা ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বাবুর আলী গোলদার বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ার কারণে পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই পানি উঠে গেছে।’
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘পানিতে মাদারডাঙ্গা, পাথরঘাটা ও মনোহরনগর গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘কাটাখালি খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পারিবারিক কবরস্থান পানিতে তলিয়ে থাকায় মাদারডাঙ্গার গ্রামের মৃত নবু বেগমকে অন্যত্র নিয়ে দাফন করা হয়েছে।’