Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

উদ্যোগেও সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি

রাঙামাটি প্রতিনিধি

উদ্যোগেও সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি

করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত রাঙামাটিতে থামছে না বিস্তার। প্রশাসনের নানা উদ্যোগের মধ্যেও এর ঊর্ধ্বগতি থামানো যাচ্ছে না। গত ২০ দিনের ব্যবধানে জেলায় শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। এদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য গতকাল শুক্রবার দিনভর শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছেন।

১ জানুয়ারি জেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ হার এসে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে।

রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ৭১ জনের। তাঁদের ৪৯ জনই রাঙামাটি সদরের বাসিন্দা। এ ছাড়া কাপ্তাই উপজেলায় ১৩ জন, কাউখালী ও বাঘাইছড়ি উপজেলা ২ জন করে এবং বিলাইছড়ি, লংগদু, রাজস্থলী, নানিয়ারচরে ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।

জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫২০ জনের। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা রোগী আছেন ২৫৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৪ জন। তবে গত ২০ দিনে কোনো রোগী মারা যাননি।

এদিকে শুক্রবার শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। গতকাল সকালে পর্যটন করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ঝুলন্ত সেতু এলাকায় অভিযান চলতে দেখা গেছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বোরহান উদ্দিন মিঠু, অঞ্জন কুমার দাশ এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পর্যটকদের মুখে মাস্ক নিশ্চিত করতে প্রচার অভিযানও চালান তাঁরা।

নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা রাঙামাটি পুরো শহরে করোনা সংক্রমণ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। মাস্ক বিতরণ করছি। মানুষকে সচেতন করাচ্ছি।’

রাঙামাটি সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, ‘রাঙামাটিতে করোনা রোগী বাড়ছে। নমুনা দিতে মানুষ হাসপাতালে আসছেন। বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে কোনো রোগী নেই। কারও অক্সিজেন প্রয়োজন পড়লে আমরা তাঁদের হাসপাতালের সেবা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’

বিপাশ খীসা বলেন, রোগীরা সবাই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তারদের সঙ্গে রোগীদের যোগাযোগ রয়েছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ২৫ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। সেখানে করোনা চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনসহ ওষুধ পর্যাপ্ত রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, রাঙামাটিতে ১ জানুয়ারি ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ১ জনের। এতে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৮ জানুয়ারি ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ৬ জন। শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সর্বশেষ ২০ জানুয়ারি ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ৭১ জনের। এতে শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

রাঙামাটিতে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২০ জন। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৪ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী আছেন ২৫৫ জন। এ ছাড়া জেলায় পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৯৯৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৬৪৬ জন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ১২ জানুয়ারি ঢাকার সঙ্গে রাঙামাটি জেলাও ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময় রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙামাটিতে ১০ শতাংশ জানানো হয়েছিল। পরে খাগড়াছড়িসহ আরও ১০ জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ (রেড জোন) এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে অধিদপ্তর।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ