ক্রীড়া ডেস্ক
ইস্তাম্বুলে ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থক একেবারে কম নেই। প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ উড়াল দিয়ে যদি শহরটির রেস্তোরাঁয় বসে কোনো সিটিজেন ভক্ত দেখেন, তাঁকে খাবার পরিবেশনকারী কর্মীটির গায়ে আকাশি-নীল জার্সি—এর চেয়ে বেশি আনন্দ তাঁর আর কিসে হতে পারে! হয়তো কর্মীটিকে তিনি দুই টাকা বেশি বকশিশ দিয়ে বলবেন, ‘আজ সিটির নামেই শিস দিয়ো।’
একে নিছক কল্পনা ভাবতেই পারেন। তবে রেস্তোরাঁয় সিটির জার্সি পরা কর্মী থেকে তাকসিম স্কয়ারে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফির বিশাল রুপালি ভাস্কর্যের নিচে ক্লাবটির সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-পার্টিই বলে দেয়, প্রথমবার ইউরোপ জয়ের আশায় কেমন ব্যাকুল তারা। কোচ পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের প্রেসিং-পজেশন ফুটবলের মায়াবী সৌন্দর্য দেখে যে কেউ তাঁদের ভক্ত হবে, সেটাই স্বাভাবিক। অথচ আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এই সমর্থনটা বেশি পেতে পারত ইন্টার মিলান। নেরাজ্জুরিদের মাঝমাঠের তারকা তুরস্কের হাকান কালহানোগু যে তুরস্কের ছেলে! ঘরের ছেলের প্রতি কার না মায়া থাকে!
সিটির মিডফিল্ডার ইলকাই গুন্দোয়ানও খেলতে পারতেন তুরস্কের হয়ে। টার্কিশ পিতামাতার সন্তান হলেও জন্মভূমি জার্মানিকে বেছে নিয়েছেন তিনি। তবে কালহানোগু ফিরেছেন তুরস্কেই। তাঁদের মতো ইস্তাম্বুল এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক দলের চাওয়া—প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতুক সিটি। দুই বছর আগে পর্তুগালে খুব কাছে গিয়েও স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। আজ সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ গার্দিওলার সামনে।
তবে ইত্তিহাদে এবার স্মরণীয় মৌসুম কাটানো কোচ এসব নিয়ে ভাবছেন না। পরশু ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন গার্দিওলা। ২০২১ সালে হারের পর আরেকটি ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভাবনাকে তিনি তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আমি আগের চেয়ে শান্ত ও কৃতজ্ঞ, খেলোয়াড়েরা যা করেছে তার জন্য। ফাইনাল সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন মঞ্চ। পরের কয়েক দিন আমরা যা করব, তার ওপর নির্ভর করছে আমাদের খেলা।’
১-৪-২-৩ ফরমেশনে খেলে এফএ কাপ জিতেছে সিটি। তবে ইস্তাম্বুলের ফাইনালের আগে গার্দিওলার ভাবনা চোটে পড়া কাইল ওয়াকারকে নিয়ে। অবশ্য ইংলিশ ডিফেন্ডারকে না পেলে তাঁকে বিশ্বাস রাখতে হবে নাথান আকের ওপর।