ইফতার আরবি শব্দ। এর অর্থ রোজা ভঙ্গ করা বা সমাপ্ত করা। সূর্যাস্তের পর কিছু খেয়ে বা পান করে রোজা সমাপ্ত করার নামই ইফতার। ইফতারের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। রোজাদার নানা রকম মজাদার খাবার সামনে নিয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশিত সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকে। সময় হওয়ার পরই খাবার মুখে দেয়। ফলে ইফতার আল্লাহভীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ও মহান ইবাদত। তবে অন্য রোজাদারদের ইফতার করানো আরও বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।
সাধারণ রোজাদারদের ইফতার করানোকে মহানবী (সা.) সওয়াব বৃদ্ধির ও গুনাহ মাফের আমল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে সামান্য দুধ, খেজুর কিংবা শরবত দিয়ে ইফতার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে পেটপুরে আহার করাবে, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাউজে কাউসারের পানি পান করিয়ে পরিতৃপ্ত করবেন। এ পানি পান করার পর জান্নাতে প্রবেশ করার আগে সে আর তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (মিশকাত)
তবে এতে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না। যেমন অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করায়, তারও রোজাদারের মতো সওয়াব হবে; তবে রোজাদারের সওয়াব বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি)
সুতরাং পবিত্র রমজান মাসে আমাদের দায়িত্ব হলো, সাধ্যমতো মানুষকে ইফতার করানোর মহান কাজে অংশ নেওয়া। বিশেষ করে, গরিব, নিঃস্ব, অসহায়, দিনমজুর ও মেহনতি কিংবা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী রোজাদারদের মুখে ইফতার তুলে দেওয়া এবং তাদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বণ্টন করা অসংখ্য সওয়াবের কারণ হবে এবং তা সমাজে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি তৈরিতে সহায়ক হবে।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম