ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি বেড়েছে। এতে আতঙ্কে গ্রাহকেরা। সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর গফরগাঁওয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রাম থেকে ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এর আগে টাংগাব ইউনিয়নের স্বল্প ছাপিলা গ্রাম থেকে গত ২৬ আগস্ট রাতে পল্লী বিদ্যুতের তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
গত মে-জুন মাসে নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি গ্রাম থেকে একটি, স্থানীয় ইটভাটা থেকে তিনটি, কোরচাই থেকে একটি, এখানকার ইটভাটা থেকে দুটি এবং সেচকাজে ব্যবহার করা দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
গত আট মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৮টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় ১৮টি মামলা হলেও ট্রান্সফরমার উদ্ধার ও চোর চক্রকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলেছে, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এই চক্রের সদস্যদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী প্রথমবার চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার স্থাপন করতে গ্রাহককে নতুন ট্রান্সফরমারের অর্ধেক মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এরপর চুরি হলে গ্রাহককে ট্রান্সফরমারের সম্পূর্ণ টাকা দিতে হয়।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রান্সফরমার চুরি প্রতিরোধে গফরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলি করেছে। আয়োজন করেছে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন সভা। তবু ট্রান্সফরমার চুরি রোধ করা যাচ্ছে না।
আরও জানা গেছে, গফরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের নিয়ন্ত্রণে উপজেলার ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের আওতায় ৫৫ হাজার ১৫০ জন গ্রাহক রয়েছেন।
টাংগাব এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রতন খান বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে গ্রাহক অসন্তোষ বাড়ছে। বাড়ছে আতঙ্ক।
গফরগাঁও জোনাল অফিসের এজিএম মো. রাসেল মিয়া বলেন, বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। ট্রান্সফরমারের ভেতরে মূল্যবান তামার কয়েলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকে। মূলত দামি কয়েলের কারণেই ট্রান্সফরমার চুরি হয়।