বোরো আবাদকে সামনে রেখে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কৃষকেরা বোরো বীজতলা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বীজতলা তৈরি ও বীজ ছিটানোর কাজ করছেন তাঁরা।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার জয়পুর, লোহাগড়া, মল্লিকপুর, দিঘলিয়া, লক্ষ্মীপাশা, কাশিপুর, নোয়াগ্রাম, শালনগর, লাহুড়িয়া, ইতনা, নলদী ও কোটাকোলসহ ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের মরিচ পাশা গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে বোরো আবাদের জন্য আমরা বোরো বীজতলা তৈরি করছি।’ ইতিমধ্যেই যে সব জমিতে রবিশস্য আবাদ হচ্ছে না সে সব জমিতে প্রথম দিকে পৌষ মাসেই যাতে ধান রোপণ করা যায় সে জন্য তাঁরা বীজতলায় বীজ ছিটাচ্ছেন।
লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের কাউড়িখোলা গ্রামের কৃষক প্রসাদ গাইন বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার আবাদি জমির জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০-৫০ ভাগ বোরো বীজতলায় বীজ ছিটানো হয়েছে। যা আগামী এক মাসের মধ্যে বীজতলা থেকে বীজ তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে।
এদিকে স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে লোহাগড়া উপজেলার হাঁট-বাজারে বোরো বীজের বিক্রি বেড়ে গেছে। আর স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, বোরো বীজের মূল্য তাঁদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফলে এলাকায় বোরো বীজের কোনো সংকট নেই।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচ উদ্দিন বলেন, উপজেলার ফসলি মাঠে বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো বীজের কোনো সংকট না থাকায় এ বছর লোহাগড়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হবে।