জামালগঞ্জ উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ছয়জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাঁরা হলেন-বেহেলী ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুব্রত সামন্ত সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়েজ আহমেদ, ভীমখালি ইউপির আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আক্তারুজ্জামান শাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার চৌধুরী। এ চেয়ারম্যান প্রার্থীর চারজন বাতিল হয়েছেন ঋণ খেলাপির জটিলতায়।
এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ফেনারবাঁক ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের বয়স জনিত ত্রুটি ও ভীমখালী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানকে সমর্থনকারীর স্বাক্ষর ও তথ্যগত ভুল থাকার কারণে মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
পঞ্চম ধাপের তফসিল অনুযায়ী জামালগঞ্জের চার ইউপিতে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্যসহ ২৮৪ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এতে ১২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে এ ছয়জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
বেহেলী ইউপির নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী সুব্রত সামন্ত সরকার বলেন, ‘আমাকে যে কারণে বাতিল করা হয়েছে এটা ব্যাংকের সঙ্গে সমাধান হয়েছে। আগামীকাল সকালেই (এনওসি) অনাপত্তিপত্র জমা দেব।’
ভীমখালী ইউপির নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী আক্তারুজ্জামান শাহ বলেন, ‘ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে মূল আসামি কারাগারে আছে। আমি গ্যারান্টর ছিলাম। তবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আমি মুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে জজ অনুপস্থিত থাকায় মামলাটি শুনানি হয়নি। আগামীকাল আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিল দায়ের করব।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ রয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে ১৯ ডিসেম্বর রায় হবে। এই সময়ের মধ্যে আইনি জটিলতা কাটাতে পাড়লে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ ২০ ডিসেম্বর এবং আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।