টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে গ্যাস, নিরাপদ পানির সংকটসহ নানা সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে গত শনিবার রাতে উপাচার্য ফরহাদ হোসেনকে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে ১৪ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাত ২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আজিজুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি হলের মধ্যে সর্বশেষে নির্মিত হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল ও শেখ রাসেল হল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় নবনির্মিত এসব ভবনে গ্যাস-সংযোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপাচাপিতে গত আগস্টে হলগুলোতে আসন বরাদ্দ দেয় কর্তৃপক্ষ।
তখন ফজিলাতুন নেছা হলের শিক্ষার্থীদের আলেমা খাতুন ভাসানী ও জাহানারা ইমাম হলে এবং রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের আব্দুল মান্নান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহের প্রয়োজনে খাবারের খরচ অন্য হলগুলোর চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এই শর্ত মেনেই তাঁরা হলে থাকতে শুরু করেন। এখন মেয়েরা তেমন কোনো অভিযোগ না করলেও ছেলেরা খাবারের সমস্যা সমাধানের দাবি তোলেন।
শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকীব জানান, হলের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রভোস্টের সঙ্গে ৭-৮ বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তিনি বাজেট সংকটের অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন। এ ছাড়া নিরাপদ পানি, ওয়াই-ফাই, জনবল নিয়োগ, রিডিং রুমে টেবিল সরবরাহ, মসজিদে ইমাম নিয়োগ ও কার্পেট সরবরাহ, ডাস্টবিন, গ্যারেজ, পানির ফিল্টার স্থাপনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য শনিবার রাতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কথা হলে হাউস টিউটর আবু জাফর শিবলী বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য হল কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য একযোগে কাজ করছেন। যে সমস্যা এখানই সমাধান সম্ভব, সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু বিষয়ে ইউজিসির অনুমোদন প্রয়োজন। সেগুলোর জন্য ১৪ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধানের জোর চেষ্টা চলবে। গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকায় লাকড়ির চুলা ব্যবস্থা করে খাবার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।