এম ফিরোজ আহমেদ
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার চালুর প্রয়োজন কেন হলো বুঝলাম না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও চাননি বুয়েটের শিক্ষকেরা রাজনীতিতে যুক্ত হন।
সত্তরের দশকে বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলাম, নব্বইয়ের দশকে বুয়েটে হলের প্রভোস্ট ছিলাম। তখন বুয়েটের পরিবেশ অনেক ভালো ছিল। প্রভোস্ট থাকাকালে হলে কিছু ঘটলেই পাঁচ মিনিটে খবর পেয়ে যেতাম। দ্রুত গিয়ে আমরা সমাধান করতাম। কিন্তু আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড বুয়েট প্রশাসন কেন থামাতে পারেনি জানি না। এটা নিয়ে তদন্ত হয়েছে কি না, সে খবরও পাইনি।
আমাদের সময় বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক চর্চা ছিল না। তবে ছাত্র সংসদ ছিল। তখন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে ভালো ছাত্র নির্বাচিত হতো।
আমরা চাই বুয়েট ক্ষমতাসীন রাজনীতি থেকে বাইরে থাকুক। তারা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করুক। ক্যারিয়ার বা আত্মোন্নয়নে সাংগঠনিক চর্চা করুক।
ছাত্ররাজনীতি শুরু হলে হয়তো কিছু শিক্ষার্থী লাভবান হবে, যারা রাজনীতিতে নেতা হবে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিছু ছাত্র রাজার হালে থাকবে, আর কিছু ছাত্র তাদের কথা শুনবে, এটা তো ঠিক নয়। ফলে বুয়েটের বেশির ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে।
এম ফিরোজ আহমেদ, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক