Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নৌকার বিরোধিতাকারী নেতাদের তালিকা হচ্ছে

রিমন রহমান, রাজশাহী

নৌকার বিরোধিতাকারী নেতাদের তালিকা হচ্ছে

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী নৌকার বিরোধিতা করছেন, তাঁদের তালিকা করা হচ্ছে। এই তালিকা করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় একটি করে টিম গঠন করে দিয়েছে। সেই টিম তথ্য সংগ্রহ করছে। তালিকা হওয়ার পর তা যাচাই করা হবে। এরপর নেওয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

গত ১১ নভেম্বর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় ইউপি নির্বাচন হয়। এরপর ২৮ নভেম্বর পবা ও মোহনপুরে ভোট হয়। গোদাগাড়ীর মাটিকাটায় সোহেল রানা ও বাসুদেবপুরে নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। অভিযোগ রয়েছে, দুজনেই নির্বাচিত হয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থনে। নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণের আগেই সোহেল রানা জড়িয়ে পড়েন নারী কেলেঙ্কারিতে। এ নিয়ে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।

তানোরের কলমায় খাদেমুন্নবী চৌধুরী বাবু ও তালন্দে নাজিম উদ্দিন বাবু নৌকার বিরোধিতা করে জিতেছেন। মোহনপুরের সব ইউপিতেই নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে পবার পারিলায় বিজয়ী হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ আলী মোর্শেদ। অভিযোগ রয়েছে, খোদ স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের ইশারায় নেতা-কর্মীরা নৌকার বিরোধিতা করেছেন। ফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ায় রাজশাহীতে সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিছিল নিয়ে আসেন সাংসদ আয়েন উদ্দিন। মিছিলে তাঁর পাশে ছিলেন পারিলা ইউপিতে নৌকার বিরোধিতা করে চেয়ারম্যান হওয়া সাঈদ আলী মোর্শেদ। শুধু তাই নয়, মোর্শেদের ভোটে তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলীকেও দেখা গেছে সাংসদ আয়েন উদ্দিনের পাশে।

আগামী ৫ জানুয়ারি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন, পুঠিয়ার দুটি ও দুর্গাপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে। এসব নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। আর তাঁদের সঙ্গে আছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই। বিদ্রোহীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। ওই সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাঁদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তারপর নৌকার ‘বিরোধিতাকারী’ হিসেবে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, ‘ব্যর্থতা বলেন, আর যাই বলেন, আমরা এখনো নৌকার বিরোধিতাকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাতে পারিনি। আমাদের একটা টিম এ ব্যাপারে কাজ করছে। এই টিম নৌকার বিরোধিতাকারীদের তালিকা করে আমাদের দেবে। আমরা সেটা তদন্ত করব। তারপর সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হবে।’

সাংসদ আয়েন উদ্দিনের মিছিলে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী এবং নৌকার বিরোধিতাকারী থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে অনিল কুমার সরকার বলেন, ‘আমি এটা দেখিনি। এখনই শুনলাম। এ রকম যদি হয় তাহলে তাঁদের নামও ওই টিম লিপিবদ্ধ করবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভায় আলোচনা হবে, তারপর সাংগঠনিক ব্যবস্থা যা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে।’

সাংসদ আয়েন উদ্দিনকে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হয়। তবে তিনি কল রিসিভ করেননি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ