জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি হতে বাধা কাটল ৮০ শিক্ষার্থীর। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ভর্তি ফরম পূরণ করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া শুরু করেছে। ভর্তিতে সুযোগ পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়া জামালপুর জিলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ৪০ জন এবং ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি সমস্যায় পড়েন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা জিলা স্কুলের সামনে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মানববন্ধন করে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। এরপরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় গত মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের পথ আটকে রাস্তায় শুয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। বিভাগীয় কমিশনার অভিভাবকদের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও ভর্তি কমিটির সভাপতি মুর্শেদা জামান স্কুল কর্তৃপক্ষের বয়স জটিলতায় ভর্তি আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার নির্দেশ দেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, ২৫ নভেম্বর তৃতীয় শ্রেণিতে প্রভাতি শাখায় ৫৯ জন ও দিবা শাখায় ৫৬ জন এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রভাতি শাখায় ৪৩ জন ও দিবা শাখায় ৫৩ জনকে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। দুটি শ্রেণিতেই অনলাইনে লটারির মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার কথা বলা হয়। সেই অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে লটারি হয়। ওই লটারিতে উত্তীর্ণ তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৪০ জন ও ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৪০ জনের বয়স-সংক্রান্ত জটিলতা দেখা যায়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হালিমা খাতুন বলেন, ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত পেয়ে বয়স জটিলতায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু করা হয়েছে।
