হোম > ছাপা সংস্করণ

ভাটায় করাতকল, পুড়ছে গাছ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার সাতটি ইটভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ কেটে ইট পোড়াচ্ছেন ভাটার মালিকেরা। গ্রাম ও বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হয়ে গাছপালা মরে যাচ্ছে। ইটভাটা-সংলগ্ন গ্রামগুলোতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে ২২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে এডিবি, মৃধা, ফাইভস্টার, এমকেএস, এইচআরটি, এসএসবি ও এমসিকে নামের সাতটি ড্রাম চিমনি ইটভাটা। এই ভাটাগুলোতে কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার মালিকেরা করাতকল বসিয়ে গ্রাম ও বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে করাতকলে কেটে ইটভাটায় পোড়াচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের লোকজনে হাত করে এভাবে ইটভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ কেটে ইট পোড়াচ্ছেন ভাটার মালিকেরা। তাঁরা জানান, প্রশাসনের চোখের সামনেই কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে, তাঁরাতো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? উল্টো বিভিন্ন দিবসের নামে তাঁরা ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন।

এদিকে ১৭ জানুয়ারি ইটভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক পরিদর্শন শেষে প্রত্যেক ইটভাটার মালিককে দুই লাখ টাকা করে ১৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন। একই সঙ্গে ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থদণ্ড ও বন্ধের নির্দেশনার ১ ঘণ্টা পরে মালিকেরা ইটভাটাগুলো পুনরায় চালু করেন।

গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, রায়বালা এলাকায় এডিবি, মৃধা, ফাইভস্টার, চন্দ্রা এলাকায় এমকেএস, এইচআরটি, এসএসবি ও মহিষডাঙ্গা গ্রামে এমসিকে নামের ৭টি ড্রাম চিমনি ইটভাটার ভেতরে করাতকল স্থাপন করে কাঠ চেরাই করছে। ইটভাটায় কালো ধোঁয়ায় এলাকার গাছপালা কালচে হয়ে গেছে। গ্রামগুলো মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার কয়েক শ্রমিক বলেন, প্রশাসন কী করবে? প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের লোকজন এসে টাকা নিয়ে যান। তাঁদের টাকা দিলে কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না।

পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা ও কাউনিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার মধ্যে করাতকল বসিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ইটভাটায় পোড়াচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বাড়িতে বসবাস করতে সমস্যা হচ্ছে।

রায়বালা গ্রামের ফাইভস্টার ইটভাটার মালিক মো. মধু প্যাদা ইটভাটায় করাতকল বসানোর কথা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসনের লোকজন করাতকল সরানোর নির্দেশ দিলেও ইট পোড়ানোর প্রয়োজনে সরাচ্ছি না।

আমতলী বন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, ইটভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে ড্রাম চিমনি ইটভাটাতে করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই করা বেআইনি। দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিযুষ চন্দ্র দে বলেন, খোঁজ নিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন