ক্রীড়া ডেস্ক
আমিরাতে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেখানে শেষ হয়েছিল, এবার শুরুটা হচ্ছে ঠিক সেখান থেকেই। প্রথম রাউন্ডের রোমাঞ্চ শেষে সুপার টুয়েলভের সূচনা হচ্ছে গতবারের দুই ফাইনালিস্টের লড়াই দিয়ে। তবে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই ম্যাচ বৃষ্টির বাধার মুখে পড়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।
আবহাওয়ার ওপর তো হাত নেই। মাঠে নামার সেরা প্রস্তুতিটাই তাই নিয়ে রেখেছে দুই দল। ভাবনায় থাকছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে এলে সেটা সামলানোর কৌশলও। ২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। তবে এসব নিয়ে চিন্তিত নন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ‘আমরা এটা নিয়ে বেশি ভাবছি না। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলতে পারা দারুণ ব্যাপার।’ তবে চোট নিয়ে মাথাব্যথা থেকে যাচ্ছে দুদলের। অজিদের সামনে চ্যালেঞ্জ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখার।
দিনের আরেক ম্যাচে পার্থে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এবার শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইংলিশরা। দল হিসেবে যেমন অপ্রতিরোধ্য, খেলোয়াড়েরাও আছেন দুরন্ত ফর্মে। তবে শেষ মুহূর্তে চোটে পেসার রিচ টফলির ছিটকে পড়া বড় ধাক্কা। চোট শঙ্কা আছে অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসকে নিয়েও। এই নিয়ে হতাশা থাকলেও সেটা পেয়ে বসতে দিতে চান না অধিনায়ক জশ বাটলার। বিশ্বকাপে নিজেদের ফেবারিট না মানলেও বিপজ্জনক দল হিসেবে দেখছেন ইংলিশ অধিনায়ক।
চোট নিয়ে শঙ্কা আছে আফগান ক্যাম্পেও। অনুশীলনে চোট পেয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়েছিল রহমতউল্লাহ গুরুবাজকে। তবে রশিদ খান-মুজির উর রহমানদের নিয়ে গড়া আফগানরা দল হিসেবে যে কাউকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। গতবারের মতো এবারও সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলছে তারা। বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া থেকে দারুণ স্মৃতি নিয়ে ফিরতে চান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী।