কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কে টগরাইহাটের বড় পুলেরপাড় নামক এলাকায় গেলে হাতের ডানেই চোখে পড়বে একটি উল্টানো বক্স কালভার্ট। এটি উল্টে থাকার কারণে সড়কটি সংস্কার হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কালভার্টের পাশেই চলাচলের জন্য এলাকাবাসী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করেছেন সাঁকো। পায়ে হাঁটার নড়বড়ে সাঁকোটি এখন এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। আর কালভার্টটি তাঁদের ‘পথের কাঁটা’।
স্থানীয়রা জানান, সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বড়পুলের পাড় থেকে কাঁঠালবাড়ীগামী গ্রামীণ সড়কে নির্মিত বক্স কালভার্টটি ২০১৭ সালের বন্যায় পানির চাপে উল্টে যায়। এরপর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা যে কতবার এটি পরিদর্শন করেছেন এর হিসাব নেই। উল্টেপড়া কালভার্টের জায়গায় নতুন কালভার্ট নির্মাণ তো দূরের কথা চলাচলের জন্য বিকল্প টেকসই কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। ফলে পাঁচ বছরেও জনভোগান্তির নিরসন হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করে।
বড়পুলের পারের মুদির দোকানি মাসুদ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফুল জানান, ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা উল্টে পড়া ওই কালভার্ট পথে টগরাইহাট ও জেলা শহরে যাতায়াত করেন। পাঁচ বছর ধরে এটি সংস্কারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল জানান, তাঁরা কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি বারবার দেওয়ার পরও কালভার্ট সংস্কার কিংবা বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধু পরিদর্শন আর আশ্বাসেই আটকে আছে সংস্কার।
এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী রিশাদ জামান বলেন, ‘ওই স্থানে নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনাটি ইতিমধ্যে প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। মাটি পরীক্ষা হয়েছে। এখন নকশা অনুমোদন হলে নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।’